নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জেলা পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ডাকাত বেলজিয়াম সুমন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের এসআই কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোক্তার হোসেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রিভলবার ও ৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে। গুলিবিদ্ধ সুমন ও আহত দুই পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিয়া আক্তার পারুলের স্বামী কামরুল হাসান রুবেল ওরপে হাতকাটা রুবেল, ডাকাত বেলজিয়াম সুমন ও সিএনজি চালক সেলিম।
পুলিশ জানায়, তালিকাভূক্ত ডাকাত বেলজিয়াম সুমনসহ একদল ডাকাত উত্তরজয়পুর ইউপির বিনোদপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ডাকাতদল, পুলিশও পাল্টাগুলি ছুঁড়ে। এতে ডাকাত বেলজিয়াম সুমন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় পুলিশের এসআই কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোক্তার হোসেন। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিয়া আক্তার পারুলের স্বামী কামরুলসহ তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে গুলিবিদ্ধ বেলজিয়াম সুমন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, বৃহস্পতিবার নানার বাড়ি থেকে আসার পথে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পায়ে গুলি করে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুুতিকালে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত বেলজিয়াম সুমন গুলিবিদ্ধসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।