আকাশবার্তা ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবসহ ৪জন গুলিবিদ্ধের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে দফায় দফায় এ বিক্ষোভ করে তারা। এরআগে আহতদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে পাঁচপাড়া এলাকার যৈদের পুকুরপাড়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এতে চন্দ্রগঞ্জস্থ কফিল উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী এম সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, জয়, রাফি রাব্বিসহ ৬জনকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কাজী বাবলু ও তার অনুসারীদের দায়ী করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহম্মেদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিঠন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল মাহমুদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু প্রমুখ।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী বাবলু বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পাঁচপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তিনিসহ তার অনুসারী কেউ জড়িত নয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে তিনকর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা সজীবসহ ৪ জন একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে মটরসাইকেলযোগে বাড়ী ফিরছিলেন। হঠাৎ স্থানীয় পাঁচপাড়া এলাকায় যৈদের পুকুরপাড়ে তারা পৌঁছলে তাদের গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা প্রত্যেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এসময় অবস্থার অবনতিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফি ছাড়া অন্য ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ বাজারজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঘটনাস্থল এলাকা।
অপরদিকে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ কেউ সুবিধা নিতে চাচ্ছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো থানায় মামলা হয়নি।