আকাশবার্তা ডেস্ক :
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেয়া ভাতা এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সে লক্ষ্যে ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি সুবিধাভোগীদের কাছে পাঠানোর জন্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’ এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, যিনি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতিসত্ত্বা বিকাশের প্রধান ব্যক্তিত্ব, বাঙালি জাতিকে যিনি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে উন্মোচিত করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে অর্থবছরে তিনি এদেশের গরীব, দু:খী, অসহায়, মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা প্রবর্তন করে মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি এ দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে কর্মকাণ্ড সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রায় ১ কোটি মানুষকে সমাজকল্যাণের মাধ্যমে ভাতা প্রদান করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাতা সুবিধাভোগীদের কাছে যাতে নির্বিঘ্নে পৌঁছানো যায় সেজন্য আজকের এই আয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আজকের এই চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের দরবারে রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তার আরেক নতুন ধারার সূচনা হলো আজকে। আমরা যেন সবাই দায়িত্ব পালন করে যাতে তার প্রত্যাশা পূরন করতে পারি সেই আশা ব্যক্ত করছি।
সভাপতির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জয়নুল বারী বলেন, বর্তমান সরকার চারটি কর্মসূচির আওতায় ৪৯ লাখ মানুষকে বয়স্ক ভাতা, ২০ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাকে ভাতা, ১৮ লাখ প্রতিবন্ধী ভাতা, ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবৃত্তির টাকা দেয়া হয়। মোট ৮৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাভোগী রয়েছে, এতে টাকার পরিমাণ ৫ হাজার ৮৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই সুবিধাভোগীদের এ বছর থেকে সরাসরি জিটুপি পদ্ধতিতে সুবিধাভোগীর মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা প্রদান করব।
তিনি বলেন, আজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহে অনুমোদন করেছেন। আজকের চুক্তি স্বাক্ষরের পর কার্যক্রম শুরু হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ জানুয়ারি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।