আকাশবার্তা ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে কোনো মনগড়া বা হঠাৎ গজিয়ে উঠা সংগঠনকে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া এবং করার কোনো সুযোগ নেই। রোববার সকালে তিনি নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের রয়েছে সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং বিভিন্ন উপকমিটি। স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে যেকোনো নামের সাথে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নানান সুবিধাভোগী শ্রেণি এবং বসন্তের কোকিলরা এ ধরনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়,যুক্ত হয় নানান আগাছা-পরগাছা।
দলীয় সভানেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দলের মধ্যে কারো প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে এ ধরনের কাজে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে- হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তি-স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা কারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে আলোচিত ব্যবসায়ী নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের ভুঁইফোড় একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ এর পোষ্টার প্রকাশের পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পুরনো দু’টি ছবিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এক ফেসবুক পোস্টে জবাবও দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও অন্যান্যদের সাথে যে ছবিগুলো ভাইরাল হচ্ছে সেটা বিয়েতে এসেছিল তখন তোলা ছবি এবং এই ছবিগুলা আমি নিজেই ফেসবুকে দিয়েছিলাম।’