বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক : 

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এর আগে বিকেল ৪টায় ওমান-পাপুয়া নিউ গিনির ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। যা চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

এদিকে টাইগারদের এবার খেলতে হচ্ছে ‘বাছাইপর্ব’। স্কটল্যান্ড ছাড়া গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। এই পর্ব পেরোতে পারলেই সুপার বারোতে যাওয়ার সুযোগ পাবে মাহমুদউল্লাহরা। তার জন্য ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষ বা দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হবে টাইগারদের।

বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র। যেখানে স্কটল্যান্ড এখনও সহযোগী দেশগুলোর একটি। সেই হিসাবেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মত দেবেন অনেকে। তবে ক্রিকেট দুলাচলের খেলা। এখানে যে কোনো দল যেমন জয় পেতে পারে তেমনি হারতেও পারে, হোক তারা শক্তিশালী কিংবা দুর্বল।

বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ডের কিছু অজানা তথ্য

  • টাইগার বাহিনী ২০০৭ সাল থেকে এ যাবৎকালের প্রত্যেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিলেও স্কটল্যান্ড খেলেছে মাত্র তিন আসরে।
  • বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বীতা নতুন নয়, অনেক পুরনো। সেই ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি থেকে।
  • ১৯৯৭ মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফির সেমিফাইনালে এই স্কটল্যান্ডকেই ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
  • ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৪৩ রান। খালেদ মাসুদ পাইলট করেন ৭০ রান। জবাবে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড। মোহাম্মদ রফিক নেন ৪ উইকেট। এরপর ফাইনালে কেনিয়াকে ২ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
  • এই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এডিনবরায় অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারায় ২২ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৮৫ রান। বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সেদিন করেছিলেন অপরাজিত ৬৮ রান।
  • জবাবে স্কটল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১৬৩ রানে। হাসিবুল হোসেন শান্ত, মঞ্জুরুল ইসলাম এবং খালেদ মাহমুদ সুজন নেন ২টি করে উইকেট। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু নির্বাচিত হন ম্যাচ সেরা। এরপর বাংলাদেশ পাকিস্তানকেও হারিয়েছিল ৬২ রানের ব্যবধানে।
  • ওয়ানডেতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মোট চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোতেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল স্কটিশদের। সেবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড।
  • প্রথমে ব্যাট করে তারা সংগ্রহ করেছিল ৩১৮ রান। বর্তমান অধিনায়ক কাইল কোয়েৎজার করেন ১৫৬ রান। জবাবে তামিম ইকবালের ৯৫ রানের ওপর ভর করে ১১ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় ৬ উইকেটের ব্যবধানে। ওই ম্যাচে যদিও সেরা নির্বাচিত হন স্কটল্যান্ডের কাইল কোয়েৎজার।
  • তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে স্কটল্যান্ড। কারণ, এই ফরম্যাটে একবার মাত্র ইংল্যান্ডের প্রতিবেশি এই দেশটির মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটিতে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বাংলাদেশের।
  • ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩৪ রানে। স্কটল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করে ১৬২ রান। রিচি বেরিংটন করেন ১০০ রান। জবাবে বাংলাদেশ ১৮ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১১৮ রানে।
  • ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারেরমত এবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ড।
  • আজকের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। স্কটল্যান্ড রয়েছে ১৫তম স্থানে।
  • ওমানের রজধানী মাসকাটের ‘ওমান ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে’ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়বারের আসরে মোট ২৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ৫ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১৯ ম্যাচ। এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তার মধ্যে টাইগাররা আগে ব্যাটিং করেছে ১২ বার এবং পরে ব্যাটিং করেছে ১৩ বার।

সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ১৮০, ওমানের বিপক্ষে (২০১৬ সালে)। একই বছর সর্বনিম্ন ৭০ রানের স্কোর গড়ে তারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ২৫ ম্যাচের সবটিতেই খেলেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৬৭ রান সাকিবের। সবচেয়ে বেশি ২০ ছক্কা ও সবচেয়ে বেশি ৩০ উইকেটও তার। এক আসরে (২০১৬ সালে) সর্বোচ্চ ১০ উইকেটের রেকর্ডটিও সাকিবের।

অবশ্য এই রেকর্ড তিনি ভাগাভাগি করছেন আল-আমিনের সঙ্গে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ উইকেট নেন আল-আমিন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সেরা ইনিংস ১০৩* এবং বেশি ৫২ চার তামিম ইকবালের।

সেরা বোলিং (২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট) অবশ্য মোস্তাফিজুর রহমানের। সেরা ইকনোমি ৫.৩৩ সাব্বির রহমানের। গ্লাভস হাতে সবচেয়ে ১৯ ডিসমিসাল (১০ ক্যাচ ১০ ও ৯ স্টাম্পিং) মুশফিকের। এছাড়া ফিল্ডিংয়ে সর্বোচ্চ ৮ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

এদিকে ক্লিন ফিড ইস্যুতে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে অধিকাংশ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশে বিদেশি স্পোর্টস চ্যানেল বন্ধ থাকলেও দেশি তিনটি চ্যানেলে দেখা যাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলাগুলো। বিটিভি, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস বিশ্বকাপের খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।

এ ছাড়া পাকিস্তানে পিটিভি স্পোর্টস ও ভারতের স্টার স্পোর্টস ১ ও ২ এ দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলাগুলো। তবে ক্লিন ফিড ইস্যুতে এই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে।

     এই বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০