আইন আদালত ডেস্ক :
মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুইবার ভোটার হয়ে দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার ২ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাবরিনার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দুদিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম আসামির উপস্থিততে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট রাতে বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০-এর ১৪ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী তথ্য গোপন ও জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
২০১৫ সাল থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির মামলায় তারা দুইজনেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। ওই মামলায় তাদের বিচারও শুরু হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগে ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।