নিজস্ব প্রতিবেদক :
জীবন জীবিকার তাগিদে বাসে হেলপারির চাকরী নেয় আনোয়ার। মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ইতোমধ্যে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে, আরেকটি পায়ের অবস্থাও ভালো নয়। মাংসতে পঁচন ধরেছে। হয়তো বাম পা’টিও কেটে ফেলতে হবে। গত ২ জানুয়ারী তারিখে নোয়াখালী টু ফেনী রুটের সেবারহাট নামকস্থানে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় আনোয়ার।
আনোয়ার লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউপির বসুদুহিতা গ্রামের মৃত সহিদ মিয়ার মেঝো ছেলে। সে ফেনী-লক্ষ্মীপুরগামী যমুনা গাড়িতে হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল। দুর্ঘটনার পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে ঢাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে হাই কেয়ার অর্থোপেডিক্স এন্ড জেনারেল হসপিটালের ৭০৫ নাম্বার কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তার দুটি পায়ের মাংস থেতলে যায়। যা বর্তমানে পঁচন ধরা আরম্ভ করছে। এ অবস্থায় তাকে বাঁচানোর জন্য তার ডান পা ফেলে দেওয়া হয়। বাকী পা’ টাও হয়ত কেটে ফেলতে হবে।
এদিকে তার চিকিৎসায় বিপুল অংকের ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ নেই দরিদ্র পিতা মাতার। আনোয়ারের বর্তমানে ৩টি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় আনোয়ারের পাশে দাঁড়িয়েছে সামাজিক ও মানবিক সংগঠন “জাগো মানবতা ফাউন্ডেশন”।
রোববার (৯ জানুয়ারী) বিকেল ৫টায় জাগো মানবতার ফাউন্ডেশনের পক্ষে সভাপতি মোহাম্মদ হাছান নগদ ৫০ হাজার টাকা তার এলাকার মো. হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর হোসেন, সহ-ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক নাছির আলম রিমন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক কার্তিক দেবনাথ, যুগ্ম যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- নিরাপদ সড়ক চাই চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ হোসেন, স্থানীয় মো. হোসেন, মো. কামাল, মো. কবির হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাছান জানান- অসহায়, দুস্থ্য মানুষের পাশে জাগো মানবতা ফাউন্ডেশন সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।