বৃহস্পতিবার ১৬ই মে, ২০২৪ ইং ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া : বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ

দেশ পরিচিতি ডেস্ক : 

পরাক্রমশালী রুশ সাম্রাজ্য, পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন কিংবা আজকের দাপুটে রাশিয়া। আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দেশটি শক্তি, সৌন্দর্য, বিজ্ঞান কিংবা সংস্কৃতি কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। বিশাল দেশটিতে দর্শনীয় স্থানেরও অভাব নেই। বন, পাহাড়, নদী, হ্রদ সবই আছে সেখানে। সাইবেরিয়ার শীত কতটা তীব্র, কৃষ্ণসাগর উপকূলের উষ্ণ গ্রীষ্মই বা কেমন- আজ জানাবো সে সব তথ্য। তার আগে জেনে নেই রাশিয়া সর্ম্পকে কিছু তথ্য :

অফিশিয়াল নাম : রাশিয়ান ফেডারেশন
রাজধানী : মস্কো
অফিশিয়াল ভাষা : রাশিয়ান
জাতীয়তা : রাশিয়ান বা রুশ
জাতিগোষ্ঠি : ৮১ শতাংশ রুশ, প্রায় ৪ শতাংশ তাতার, ১.৪ শতাংশ ইউক্রেনিয়ান। এছাড়া বাশকিরি, চুভাশ ও চেচেনজাতি গোষ্ঠি রয়েছে দেশটিতে।
ধর্ম : ৭৩ শতাংশ খ্রিস্টান, ১৫ শতাংশ ধর্মহীন, ১০ শতাংশ ইসলাম
সরকার ব্যবস্থা : ফেডারেল সেমি প্রেসিডেন্সিয়াল
পার্লামেন্ট : ফেডারেল অ্যাসেম্বিলি(দুই কক্ষ বিশিষ্ট)
আয়তন : ১ কোটি ৭১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৯১ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা : ১৪ কোটি ৬২ লাখের কিছু বেশি
মাথাপিছু আয় : ২৮ হাজার ১৮৪ মার্কিন ডলার
মুদ্রা : রুবল
শিক্ষার হার : শতভাগ প্রায়

আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া। ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশ জুড়ে এর অবস্থান। রাশিয়ার মোট ভূখণ্ডের ৪০ শতাংশ পড়েছে ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে। শুধু এটুকু হিসেবে ধরেলেও রাশিয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ।আবার দেশটির যে ৬০ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে পড়েছে তাতেও দেশটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় দেশ হিসেবেও খ্যাতি পেতে পারে। মোট কথা ইউরোপ থেকে এশিয়া-বিশাল এলাকা জুড়ে দেশটির অবস্থান। আয়তনে ওশেনিয়া, ইউরোপ ও অ্যাটার্কটিকা মহাদেশের চেয়েও বড় রাশিয়া। দেশটির কলিনিনগ্রাদ নামের একটি প্রদেশ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের বাইরে বাল্টিক সাগরের তীরে। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে এই প্রদেশটিতে যেতে হলে অন্তত দুটি দেশের ওপর দিয়ে যেতে হয়।

আয়তনে বিশাল হলেও সে তুলনায় রাশিয়ার জনসংখ্যা কম। দেশটি জনসংখ্যার হিসেবে বিশে^ নবম স্থানে রয়েছে। বিশাল ভূখণ্ডে গড়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে মাত্র ৮ জনের কিছু বেশি লোক। বিশাল এই দেশটির অর্ধেকেরই বেশি এলাকা বনাঞ্চল। পাহাড়ি অঞ্চল, সমভূমি, জলাভূমি সবই আছে এখানে। রাশিয়ার সাথে সীমান্ত রয়েছে ১৬টি দেশের।

তৃতীয় থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রাশিয়ায় স্লাভদের বসবাস ছিলো। নবম শতাব্দীতে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় দেশটির ওপর। এসময়ই মূলত দেশটিতে খ্রিস্টধর্মের চর্চা শুরু হয়। সে সময় রুশ নামে ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্তি ছিলো রাশিয়া। পঞ্চদশ শতাব্দীতে মস্কোর গ্রান্ড ডুচি এই অঞ্চলগুলোকে একত্রিত করেন। ১৭২১ সালে রুশ সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একের পর এক এলাকা বিজয় করে এর পরিধি বাড়াতে থাকেন শাসকরা। সেই সম্রাজ্য টিকে ছিলো ২০০ বছর। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ওই বছর ১২ ডিসেম্বর জন্ম নেয় রাশিয়া ফেডারেশন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বল হলে গত দুই দশকে দ্রুতই সেটি আবার কাটিয়ে উঠছে। ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে চলছে ভøাদিমির পুতিনের শাসন। কাগজে কলমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন কূটকৌশলে দুই দশক ধরে দেশটির শাসন ক্ষমতা কব্জা করে রেখেছেন কেজিবির গুপ্তচর থেকে রাজনীতিতে আসা পুতিন। নিজের সুবিধামতো পরিবর্তন করেছে সংবিধান।

বিরোধী শক্তির ওপর চলছে দমন-পীড়ন। দেশটির দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ডুমার সদস্য সংখ্যা ৪৫০, আর উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্য আছেন ১৭০ জন। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র প্রধান, যার রয়েছে নির্বাহী ক্ষমতা। সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশাল এই দেশটিতে রয়েছে ৪৬টি প্রদেশ, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ডাকা হয় অবলাস্ট নামে। এছাড়া রয়েছে ২২টি স্বায়ত্বশাসিত রিপাবলিক, ৯টি টেরিটোরি, ৪টি সায়ত্বশাসিত জেলা। মূলত এগুলো প্রায় একই ধরণের। তবে শাসন পদ্ধতি ও স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার পরিধির ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন নাম দেয়া হয়েছে এর। মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেবাস্টোপোল নগরী তিনটিও পৃথক প্রদেশের মর্যাদায় ফেডারেল সিটি হিসেবে আছে। এই ৮৫টি অঞ্চলের প্রতিটি থেকে দুই জন করে এমপি নির্বাচিত হন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের জন্য।

রাশিয়া শীত প্রধান দেশ। বছরের বেশির ভাগ সময়ই প্রচুর শীত পড়ে দেশটিতে। তাপমাত্রা মাইনাসের নিচে নেমে যায়। ভারী তুষারপাত হয় দেশটির অনেক জায়গায়্। তবে আয়তনে বিশাল দেশ হওয়ার কারণে অঞ্চল ভেদে আবহাওয়ার তারতম্য রয়েছে।শীতের সময় রাশিয়ার বেশির ভাগ এলাকাই থাকে বরফে ঢাকা। লেকের পানির ওপরের অংশ জমে বরফ হয়ে যায়। গ্রীষ্ম আসে একেক অঞ্চলে একেক রকমভাবে।

মস্কো, সেন্ট পিটার্সবাগসহ সেন্ট্রাল ইউরোপীয় অঞ্চলে গ্রীষ্ম, শীত, শরত ও বসন্ত- এই চারটি ঋতুই দেখা যায়। শীতে মস্কোর তাপমাত্রা মাইনাস ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে। উত্তরাঞ্চলে বছরের বেশির ভাগ সময়ই প্রচণ্ড শীত থাকে। সেখানে বছরে মাত্র ২-৩ সপ্তাহের জন্য গ্রীষ্ম আসে। পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি শীত প্রধান। সেখানে তুষারঝড় নিয়মিত ঘটনা। অন্যদিকে কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় দক্ষিণ এলাকার আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ। এই অঞ্চলের নগরী সোচিতে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। শীতের তীব্রতা সত্ত্বেও রাশিয়ায় রয়েছে প্রচুর বনাঞ্চল। অবশ্য অনেক অঞ্চলে শুধুমাত্র শীতেই জন্মানো সম্ভব এমন লতাগুল্ম ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। প্রচুর পাহাড়, আগ্নেয়গিরি আর রয়েছে জলাভুমি।

সামরিক ও রাজনৈতিক ভাবে রাশিয়া যেমন পরাশক্তি, অর্থনেতিকভাবেও দেশটি সমৃদ্ধ। আকারের দিক থেকে বিশে^ ১১তম অবস্থানে রাশিয়ার অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতির মূল উৎস তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। এছাড়া লোহা ও কাঠ রফতানিতেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশটি। প্রচুর কৃষিজমি আছে, শস্য রফতানিতে রাশিয়া বিশে^ তৃতীয়। জনসংখ্যার বেশির ভাগই উন্নত জীবনযাপন করে। মাথাপিছু আয় ১১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নাগরিকদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও গবেষণায়ও রাশিয়া শীর্ষস্থানীয় দেশ। এখন পর্যন্ত ২৬ জন রুশ বা সোভিয়েত নাগরিক বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। ১৯৫৭ সালে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক নামের কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। ১৯৬১ সালে রুশ নভোচারি ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানুষ হিসেবে মহাশূন্যে যান।

রাশিয়ার রাজধানী ও সবচেয়ে বড় নগরী মস্কো। এই নগরীটিরাশিয়ার ব্যবসায়, অর্থনীতিসহ সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু। বিশাল এই নগরীতে বাস করে ১২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ। ঝকঝকে তকতকে এক নগরী, যার রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা, প্রশস্ত ফুটপাত। সব স্থাপনায় রাশিয়ান এম্পায়ার যুগের স্থাপত্যের ছাপ। প্রচণ্ড শীতের নগরী হলেও মস্কোতে সবুজের কমতি নেই। গাছপালা, পার্ক সবই আছে সেখানে। মস্কোর কেন্দ্রস্থলেই মস্কোভা নদীর তীরে অবস্থিত ক্রেমলিন। বিশাল দুর্গ সদৃশ এই বাড়িটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন। চারদিকে রয়েছে উচু দেয়াল। দেয়ালের গায়ে রয়েছে ১৯টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।

১৪৮২ থেকে ১৪৯৫ সালের মাঝে ২৭ দশমিক ২ হেক্টর জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছিল ক্রেমলিন। এর ভেতরে রয়েছে মোট ছয়টি ভবন ও ৩টি ক্যাথেড্রাল। সাদা রঙের মূল ভবনটির নাম গ্রান্ড ক্রেমলিন প্যালেস। এটি নির্মিত হয়েছিল রুশ জার শাসকদের বাসভবন হিসেবে। বর্তমানে এই ভবনটিতেই প্রেসিডেন্টের বাস। এছাড়া ক্রেমলিনে রয়েছে একটি জাদুঘর, যেটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

ক্রেমলিন দেয়ালের পূর্ব পাশে মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ার। মস্কোর ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা ঘটনার সাক্ষী এই রেড স্কয়ার। জায়গাটিকে মস্কোর কেন্দ্রস্থল হিসেবেই ধরা হয়। এর চারপাশে রয়েছে হিস্টেরিকাল মিউজিয়াম, লেলিনের সমাধিক্ষেত্র, সেন্ট ব্যাসিল ক্যাথেড্রালসহ রয়েছে প্রাচীন রুশ শাসকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে মিত্র শক্তির জয় উৎযাপনের বিশাল কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এখানেই। জায়গাটি ইউনেস্কোর বিশ^ ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মস্কোয় আরো আছে বলশি থিয়েটার, অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত শপিং কমপ্লেক্স গুম, মহাকাশ মিউজিয়ামসহ অনেকগুলো মিউজিয়াম। মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি আর মহানগরীর বিশাল মেট্রো স্টেশন না দেখলেও মস্কো দেখা পূর্ণতা পাবে না।

রাশিয়ার আরেক সমৃদ্ধনগরী সেন্ট পিটার্সবাগ। প্রথাগত ইউরোপীয় স্টাইলে গড়ে ওঠা নগরীটির গোড়াপত্তন করেছিলেন জার পিটার দ্যা গ্রেট ১৭০৩ সালে। ১৯১৭ সালের বিপ্লবের আগে এটিই ছিলো রাশিয়ার রাজধানী। উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় এই নগরীতে জুন জুলাইতে দিন লম্বা হয় ১৮ ঘণ্টার বেশি। আবার ডিসেম্বর জানুয়ারিতে দিন ছোট হতে হতে নেমে আসে মাত্র ছয় ঘণ্টায়।

ফিনল্যান্ড উপসাগরের খুব কাছে নেভা নদীর তীরে গড়ে ওঠা নগরীটির ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি খাল। এই খাল কিংবা নেভা নদীতে নৌকায় চড়ে বেড়ানো পর্যটকদের নিকট খুবই আকর্ষণীয়।এছাড়া সেন্ট হার্মিটেজ মিউজিয়াম, পিটার এন্ড পলের দুর্গ, প্যালেস স্কয়ার, পিটারহফ প্যালেস সেন্ট পিটার্সবার্গের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান।

সাইবেরিয়ার কথা না বললে রাশিয়ার গল্প পূর্ণতা পাবে না। সাইবেরিয়া রাশিয়ার বিরাট এক অঞ্চলের নাম, যেটি মূলত পড়েছে রাশিয়ার এশীয় অংশে। অঞ্চলটির আয়তন এক কোটি ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটার। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ৭৭ শতাংশই সাইবেরিয়ার মধ্যে। এখানে বসবাস মাত্র ৩৩ মিলিয়ন মানুষের। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এখানে বাস করে মাত্র ৩ জন।সাইবেরিয়া শীতপ্রধান অঞ্চল। শীতে এর গড় তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাইবেরিয়াতেই রয়েছে বৈকাল হ্রদ। বিশে^র সবচেয়ে বড় মিষ্টি পানির লেক এটি। ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন বছর আগে বিশাল এই লেকটির উৎপত্তি বলে গবেষকদের ধারণা। ৩১ হাজার ৭২২ বর্গকিলোমিটারের লেকটিতেআছে ৬৫ প্রজাতির মাছ। আছে আরো অনেক জলজ প্রাণী। এছাড়া এর আশপাশের বনাঞ্চলে রয়েছে ২৩৬ প্রকারের পাখি। শীতের সময়টায় বৈকালে পানি জমে বরফ হয়ে যায়। গ্রীষ্মের নীল পানির লেক শীতে হয়ে যায় বরফের সমুদ্র।

ইউরোপ ও এশিয়ার সংস্কৃতির মিশ্রণ দেখা যাবে কাজান নগরীতে গেলে। তাতারস্তান প্রদেশের রাজধানী এই কাজান। অঞ্চলটি তাতার মুসলিম অধ্যুষিত। এখানকার ৫৪ শতাংশ মানুষ মুসলিম। কাজানের কুল শরীফ মসজিদ সমগ্র রাশিয়া এবং তুরস্কের বাইরে সমগ্র ইউরোপেরই সবচেয়ে বড় মসজিদ। ১৫৫২ সালে কাজান দখলের পর প্রাচীন এই মসজিদটি ভেঙে ফেলে ইভান দ্যা টেরিবলের সৈন্যরা। অনেক ছাত্রসহ হত্যা করা বিখ্যাত মুসলিম পন্ডিত কুল শরীফকেও। ২০০৫ সালে কয়েকটি মুসলিম দেশের সহায়তায় মসজিদটি পূণনির্মাণ করা হয়। এছাড়াও কাজানে মুসলিম ঐতিহ্যকে ধারণ করে এমন বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে। আছে রুশ শাসকদেরর নির্মিত কাজান ক্রেমলিনসহ অনেক স্থাপনাও।

     এই বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১