শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেবে না ইরান লক্ষ্মীপুরে সজীবের জানাজায় মানুষের ঢল, সংসদ সদস্য পিঙ্কুর কান্না সজীব হত্যায় উত্তাল চন্দ্রগঞ্জে সড়ক অবরোধ, খুনিদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম ৪ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ : লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩ মুক্তিপণ নিয়ে তীরে উঠেই ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরে ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ভিয়েতনামে ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় ধনকুবেরের ফাঁসি ইরানকে থামাতে তুরস্ককে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনিদের পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড

মেয়েরা বেশ্যা, এটাই বাংলাদেশের সংজ্ঞা : তসলিমা

তসলিমা নাসরিন :

দেশের ‘সুশীল সমাজ’ মূলত পুরুষ ও অর্থবান ধনী পুরুষদের ক্ষমতায়নকেই কায়েম করে চলছে বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। গতকাল মাদককাণ্ডে বাংলাদেশী নায়িকা পরীমনি আটক ও তার আগে আরও দুই বাংলাদেশী মডেলের গ্রেপ্তারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান নিয়ে জোরালো সওয়াল করলেন ‘লজ্জা’র লেখিকা। বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে একের পর এক পোস্টে জ্বলে উঠল তসলিমার ফেসবুক পেজ।

একটি ফেসবুক পোস্টে তসলিমার যা লিখেছেন তার মূল আক্রমণ সরাসরি বাংলাদেশের পুরুষশাসিত সামাজিক পরিকাঠামো। তসলিমার কটাক্ষ, সমাজ পুরুষশাসিত। আর সেই সকল নিয়মের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় সামাজিক নিয়ম। একাধিক ধর্ম থাকলেও সর্বত্রই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পুরুষদের। সেই পথে হেঁটে ক্রমশ অবক্ষয়ের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এমনই দাবি করলেন ওই দেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তাঁর পোস্টে তসলিমা দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রগতিশীল মেয়েদের ‘বেশ্যা’ বলে গণ্য করা হয়। এটাই নাকি বাংলাদেশের সংজ্ঞা। নিজের এই বক্তব্যের ভিত্তিতে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে তসলিমা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সংজ্ঞা। পুরুষেরা লোভ করলে?-অ্যামবিশাস। মেয়েরা লোভ করলে?-বেশ্যা। পুরুষেরা মদ খেলে? -স্মার্ট। মেয়েরা মদ খেলে?-বেশ্যা। পুরুষেরা নাচলে?-কালচার্ড। মেয়েরা নাচলে?-বেশ্যা। পুরুষেরা ক্লাবে গেলে?-রিচ। মেয়েরা ক্লাবে গেলে?-বেশ্যা।’

বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে এই পোস্ট করেন তসলিমা নাসরিন। এর আগে এদিন দুপুরের দিকে আরও একটি পোস্ট করেন তিনি।

যেখানে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের সুশীল সমাজ প্রায়ই এক একটি মেয়ের বিরুদ্ধে উন্মাদ হয়ে ওঠে। মেয়েগুলো সাধারণত ধনী এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শিকার। চতুর ব্যবসায়ীরা এই মেয়েদের ব্যবহার করে তাদের অবৈধ ব্যবসার কাজে, এই মেয়েদের হোটেলের বারে গিয়ে মদ খেতে শেখায়, ক্লাবে গিয়ে নাচতে শেখায়। এই মেয়েদের তারা তাদের হাতের পুতুল বানায়। এদের এক্সপ্লয়েট করাটা তাদের জন্য সহজ। কারণ মেয়েগুলো নিতান্তই নিরীহ। হয়তো গরিব পরিবারের মেয়ে, শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব একটা নেই, হয়তোহয়তো হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছে, ডিভোর্সি, পায়ের তলায় মাটি চাইছে। শিকারী পুরুষগুলোর পাতা ফাঁদে পড়ে যায় এরা, অথবা পড়তে এদের বাধ্য করা হয়। সুশীল সমাজ ধনী পুরুষদের বড় সমীহ করে চলে। বদনাম করার জন্য বেছে নেয় ওই নিরীহ মেয়েদের।’

 

     এই বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০